মনোগন্ধা
– অতীশ দীপঙ্কর
কবিতার গন্ধ নিয়ে যতবার গভীর অরণ্যে গেছি
আলো ছেয়ে গেছে অন্ধকারে,
স্মৃতিলগ্না নারীর পিপাসায় সমুদ্রে নেমেছি
ডুবেছি কখনো নীল কখনো কালো মুখরে।
গোধূলির সোনাগলা পাগল আকাশ যখন দেঊলিয়া,
আমি তখন গোধূলি যুবতীর প্রেমে,
স্তনভার উচ্ছ্বাস ঝর্ণাতলে অম্লান কবিতা–
ঠোঁটের নিচে ছোট্ট তিল আঁধারে ধরে রেখেছে তারে।
সময়ে যৌবন রয়, দিন থেকে রাত হয়—
ঋতুরঙ্গ খেলে মল্লার আলাপে,
একগোছা সাদাচুলে ত্বকের বলিরেখা–
চুরি হয়ে যাওয়া আদিম হৃদয়, দ্রাঘিমায় পাইনি ফিরে।
ঠোঁটের নিচে কালো রঙের তিল তার মাধুরী,
না হলে লাগে বড্ড সব এক রঙা,
আমি চাই সমুদ্রের সবুজ, না হয় সেই চূর্ণ সাদা ঢেউ,
শিরীষে উজ্জ্বল শিশিরবিন্দু এখন কবিতা।
গোপন চোখের জলে জন্মান্তর ভাবি নি কখনো —
তারই ফাঁকে কথায় উঠে আসে জন্মজন্মান্তর,
ভুলেই না হোক ভালবেসে বিঁধেছে তীব্র বিষ তীর,
তবুও চিরজন্মে তার জন্য পাতানো আমার অন্তর।